মন্দা কাটতে শুরু করেছে দেশের আবাসন খাতে । এরই মধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে প্রায় সব রেডি ফ্ল্যাট । আবাসন খাতের সংগঠন রিহ্যাব বলছে বিনা প্রশ্নে অপ্রদিরশিত অর্থ বিনিয়োগের যে সুযোগ দেওয়া হয়েছে তার প্রভাবেই গতি ফিরেছে আবাসন ব্যবসায় । রাজধানীর দারুস সালামে ইনটেল প্রপারটিজ এর আবাসন প্রকল্প । কাজ এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে । এই প্রকল্পের ৮০ ভাগ ফ্ল্যাটই ইতিমধ্যে বিক্রি হয়ে গেছে । যা ক্রেতাদের বুঝিয়ে দিতে হবে ২০২২ সালের মধ্যে ।
কাজের এমন ব্যস্ততা প্রতিষ্ঠানটির সকল আবাসন প্রকল্পের । ২০২০ সালের জুনের পর থেকে ইন্টেক যে গতিতে ফ্ল্যাট বিক্রি করছে এমনটা তাদের গত ১০ বছরের ব্যবসায় আগে কখনো হয় নি । এমন চিত্র শুধু ইনটেক এরই ন্য পুরো আবাসন খাতের । রিয়েল এস্টেড এন্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর হিসেবে ২০২০ সালের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ফ্ল্যাট ।
রিহ্যাব বলছে এসময় বিক্রি হয়ে গেছে সম্পূর্ণ তৈরি অবস্থায় থাকা সব গুলো ফ্ল্যাট । সেই সাথে চাহিদা বেড়েছে মাঝারি আকারের ফ্ল্যাট এর । বিশেষ করে এই চাহিদাটা ১০০০-১৫০০ বর্গ ফুটের । অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে চাহিদা এর বিপরিতে ঘাটতি তৈরি হয়েছে তৈরি ফ্লাটের ।
এমন অবস্থায় চলমান প্রকল্প গুলোর কাজ দ্রুততার সাথে শেষ করতে চাচ্ছেন আবাসন ব্যবসায়ীরা । তবে তারাও বিপাকে পরেছেন সব ধরনের পণ্য এর দাম বেড়ে যাওয়ায় । ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ইতিমধ্যে ফ্লাটের রেজিস্ট্রেশন খরচ ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে প্রায় ১১ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে । আসছে বাজেটে তা ৭ শতাংশ করার দাবী রিহ্যাব এর ।