স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের অর্থনীতি বড় শক্তিতে পরিনত হয়েছে বইদেশিক কর্মসংস্থান । এই সময়ে জনশক্তি রপ্তানি যেমন কয়েকশত গুন বেড়েছে সাথে বেড়েছে প্রবাসী আয়ও । যা চাঙ্গা করে তুলেছে গ্রামীন অর্থনীতিকে । রেকর্ড হয়েছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এও । বিশ্লেষকদের মতে প্রবাসী আয়ের ধারাবাহিকতার কারনে কোভিড সংকটেও বাংলাদেশ বড় ধরনের বিপাকে পড়েনি ।
সৌদি আরব ওমান কুয়েত সহ মধ্য প্রাচ্চের সাতটি দেশে কর্মী পাঠানোর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে জনশক্তি রপ্তানি শুরু করে বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে । সেই বছর সব মিলিয়ে ৬ হাজার ৮৭ জন বিদেশি গিয়েছিলেন কাজ নিয়ে । যা এক লাখে পৌছাতে সময় লাগে আরো তের বছর । তবে ১৯৯০ এর পর থেকে বছর বছর বড় প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাড়তে থাকে জনশক্তি রপ্তানি ।
এর সাথে গন্তব্বের তালিকায় যোগ হয় নতুন নতুন দেশ । বর্তমানে ৪০ টির ও বেশি দেশে বছরে গড়ে অন্তত ৭ লাখ মানুষ বিদেশে যাচ্ছে কাজের জন্য । সরকারি হিসেবে এখন পর্যন্ত বিশ্ব এর বিভিন্ন দেশে ১ কোটি ৩২ লাখ বাংলাদেশি কাজের জন্য গিয়েছে । যাদের মধ্যে অন্তত এক কোটি এখনো বিদেশে কর্মরত রয়েছেন ।
যারা গেলো অর্থ বছরে প্রবাসী আয় হিসেবে ২ হাজার ১ শত ৭৫ কোটি ডলার রেমিটেন্স হিসেবে পাঠিয়েছে দেশে । ১৯৭৬ সালে যা ছিল মাত্র ২ কোটি ডলার । সেই হিসেবে স্বাধীনতার ৫০ বছরে প্রবাসী আয় বেড়েছে প্রায় হাজার গুন । যা দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও বাড়িয়েছে । ফেব্রুয়ারির শেষে যার পরিমান দাড়িয়েছে ৪ হাজার ৩০০ কোটি ডলার ।
অথচ ১৯৭৪ সালে দেশের রিজার্ভের পরিমান ছিল সাড়ে ১৮ কোটি ডলারের মতো । তবে সামনের দিনে কোভিড পরবর্তী বিশ্ব অর্থনীতির এই বড় শক্তিকে আরো টেক্সই করতে শ্রমিকের দক্ষতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই বলে মনে করেন বিশ্লেষক ও জনশক্তি রপ্তানি কারকরা ।