শিক্ষিত তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে না পারলে তরুণ জনসংখ্যার সুযোগ নিতে পারবে না বাংলাদেশ । কিন্তু দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সেই দক্ষতা তৈরিতে মোটেও সহায়ক নয় । উচ্চশিক্ষা অর্জনের পর প্রতিবছর শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে । দক্ষতা বাড়াতে উচ্চ শিক্ষার পাঠ্যসূচি তে কর্মসহায়ক বাস্তব প্রশিক্ষণ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা । আমেরিকান চেম্বার ইন কমার্স বাংলাদেশ আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সেমিনারে এসব বিষয় উঠে আসে ।
দেশের জনসংখ্যার মোট ৬০ ভাগ তরুণ সংখ্যা ১০ কোটির বেশি । বলা হয় যে দেশের তরুণ জনসংখ্যা সবচেয়ে বেশি সেই দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরে অনেক দ্রুত । যাকে বলা হয় একটি জনসংখ্যা একটি জনশক্তি । কিন্তু সেই সুফল নিতে হলে তরুণ এই জনপদকে গতি তুলতে হবে দক্ষ করে । কিন্তু দেশের শিক্ষাব্যবস্থা এই দাবি কতটুকু মিটাতে পারছে ।
হিসেব বলছে প্রতি বছর ২২ লাখের বেশি তরুণ পড়ালেখা শেষ করে চাকরির বাজারে । এরমধ্যে কাঙ্খিত চাকরি মিলছে মাত্র তিন লাখের । বাকি বড় একটা তরুণের চাকরি হচ্ছে স্বল্প বেতনে কিংবা অনানুষ্ঠানিক খাতে । আর বাহিরে থেকে যাচ্ছে উচ্চ শিক্ষিত বেকার । বিশ্লেষকরা বলছেন শিল্পে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা রোবটিক্স ডিভাইস এর মত প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ার কারণে চ্যালেঞ্জ আরও বাড়ছে চাকরির বাজারে ।
দক্ষতা বাড়াতে উচ্চশিক্ষার পাঠ্যসূচিতে কর্মসহায়ক প্রশিক্ষণের তাগিদ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা । আর এইসব বিষয়ে কাজ করতে দক্ষতা বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠনের পরামর্শ তাদের । এই উদ্যোগগুলো না নিলে একসময় দেশের অর্ধেক উচ্চ শিক্ষিত বেকার থেকে যাবে সমাজের নিম্ন অবস্থানে । দেশের ভালো চাইলে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে না হলে দেশ কোনদিনই এগিয়ে যেতে পারবে না । আগালে তরুণ আদেশ বেকার থাকলে তরুণ পিছাবে দেশ এই মন্ত্রকে সামনে সরকারকে বিশ্লেষকেরা ।