ইইউ বলছে যুক্তরাষ্ট্র ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ এর পথে হাঁটছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি অন্যায় অভিযোগ করছে । সমস্যার সমাধানে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কথা বলেছেন জার্মানির ফরাসি প্রেসিডেন্টের সাথে । গত সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্যাকসিন রপ্তানি বন্ধের হুমকি দেয় । করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচতে পূর্ব সতর্কতা মূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে নিজেদের জনগণের জন্য পর্যাপ্ত টিকা রাখতে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ইইউ । ইইউ এবং যুক্তরাষ্ট্রের জন্য টিকা প্রস্তুতকারক নেদারল্যান্ডের বায়ো সাইন্স পার্ক গেল দুই মাসে একটি রপ্তানি করেনি ।
ইউকে বলছে নেদারল্যান্ড এর সব ডোজ মজুদ করেছে ইউরোপিয়ানদের স্বার্থে । যদিও ইইউ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছে এখন পর্যন্ত মোট তিন কোটি ৪০ লাখ ডোজ টিকা রপ্তানি করেছে অঞ্চলটি । যার মধ্যে ৯০ লাখ টিকাই গেছে যুক্তরাষ্ট্রে । আর বাকি ১০ লাখ গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে । হিসেব বলছে ইইউতে টিকা কার্যক্রম চলমান রাখতে ক্রান্তিকালে প্রায় ৩০ কোটি টাকার প্রয়োজন পড়বে । এই টিকা পাওয়া যাবে নাকি তার নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি এখনো ।
এই ক্ষেত্রে বিপদ বাড়িয়েছে ভারতের শ্রীরাম ইনস্টিটিউট । কারখানাটি প্রয়োজন অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারছেনা । এর ফলে বিপদে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেননা করোনার তৃতীয় ঢেউ ঠেকাতে তাদের বিপুল পরিমাণ করোনার টিকা । ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের টিকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে তারা খুব বিপদে পড়বে এবং আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে ।
কেননা করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ে তাদের আর্থিক ক্ষতি হয় । এই একটি পুষিয়ে উঠতে না উঠতেই যদি করো না তৃতীয় ধাক্কায় তাদের আর্থিক বিপর্যয় হয় তাহলে এই ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা খুবই কঠিন হবে । এখন দেখার বিষয় এই যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই অবস্থায় কি পদক্ষেপ নেন ।