উন্নত বিশ্ব তে করোনা ভ্যকসিন পেতে যখন অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময় তবে হবিগঞ্জ থেকে ফেরত যেতে পারে ২০ শতাংশ টিকা । বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও লোকজন এর আগ্রহ না থাকায় নির্ধারিত সময়ে সব ভ্যাকসিন দেয়া নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা । মেয়াদ শেষ পর্যায়ে চলে আশায় চাহিদা সম্পন্ন এলাকায় পাঠানো হবে অতিরিক্ত ভ্যাকসিন । তবে শতভাগ লক্ষ্য অর্জন নিওয়ে কাজ করছে স্বাস্থ্য বিভাগ ।
গেলো ১৫ জানিয়ারি করোনা ভ্যাকসিন এর ৭২ হাজার ডোজ পৌছায় হবিগঞ্জে । ৭ ফেব্ররুয়ারি থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে টিকা প্রয়োগ শুরু করে স্বাস্থ্য বিভাগ । প্রথমে ব্যাপক সাড়া মিললেও দিনে দিনে কমছে ভ্যাকসিন আগ্রহীদের সংখ্যা । নানা অজুহাতে তারা মানছেন না স্বাস্থ্য বিধি ও । সংশ্লিটদের দাবী একটি মহলের ছড়ানো ভুল বার্তায় বিভ্রান্ত হচ্ছে জন সাধারণ ।
৬ এপ্রিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লক্ষ্য পুরন সম্ভব নয় । বাকী ডোজ গুলো ফেরত পাঠানো হবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে । চাহিদা সম্পন্ন জেলা গুলো পাবে বেচে যাওয়া ১৫-২০ শতাংশ ভ্যাকসিন । প্রথম ২২ দিনে সাড়ে ৩৭ হাজার লোক টিকা গ্রহন করেছেন । দেশের ২৩ দিনে যা নেমে দাড়িয়েছে মাত্র সাড়ে ১০ হাজারে । দেড় মাসে লক্ষ্য মাত্রা অর্জন হয়েছে চাহিদার মাত্র ৬৪ শতাংশ ।
হবিগঞ্জের এমন চিত্রে হতাশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ সরকার । বিশ্ব এর অনেক দেশ যেখানে টিকা পাচ্ছে না সেখানে দেশের মানুষের করোনা টিকায় এমন অনীহা তাদের মোটেও ভালো লাগছে না । কিন্তু মানুষ করোনা নিয়ে এতোটাই উদাসীন যে তারা এখন আর স্বাস্থ্য বিধি ও মানছেন না । মুখে মাস্ক নেই সামাজিক দূরত্ব নেই যেন করোনা বলতে কিছুই নেই ।