৫০ বছরের ব্যবধানে ধানের উৎপাদন বেড়েছে তিন গুণেরও বেশি গম হয়েছে দ্বিগুণ সবজি পাঁচগুণ আর ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে আগের চেয়ে ১০ গুন । এর সাথে সফলতা এসেছে প্রাণিসম্পদের যার হাত ধরে কৃষির বৈশিষ্ট্য সূচকেই বাংলাদেশের অবস্থান এখন প্রথম সারিতে । সরকারের নীতি সহায়তা পরিশ্রমী কৃষক আর গবেষকদের যৌথ প্রয়াস এই এই সাফল্য এসেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা । আউশ আমন বোরো এই তিন মৌসুমে ধান হয় আমাদের বাংলাদেশ ।
বছরে যার পরিমাণ এখন পৌনে চার কোটি টন । বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর সত্তরের দশকে এই সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২০ লাখ টনের মতো । উৎপাদন তিনগুণ বেশি হলেও এই সময় মাথাপিছু যোগ্য জমি কমে অর্ধেক হয়েছে । বর্তমানে এই খাতে গড় উৎপাদন ক্ষমতা ৪.১ টন । যদিও বৈশ্বিক গড় এর চেয়ে অনেক কম তিন টনের মতো । দানা জাতীয় খাদ্য সমস্যার পাশাপাশি সবজি ডাল মশলা উৎপাদনে বিস্ময়কর অগ্রগতি দেখিয়েছে বাংলাদেশ ।
সত্তরের দশকে দেশের ভুট্টার উৎপাদন সামান্য হলেও ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে যা পৌঁছে গেছে বছরে ৫৪ লাখ টনে । আমাদের দেশে আলুর উৎপাদন হয়েছে ১০০ টন এর কাছাকাছি যা বাংলাদেশকে এনে দিয়েছে অষ্টম আলু উৎপাদনকারী দেশের স্বীকৃতি । এছাড়া বৈশ্বিকভাবে সবজি উৎপাদনে তৃতীয় অবস্থানে আছে । বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের মাছ উৎপাদন পৌঁছে গেছে ৫০ লাখ টন এর কাছাকাছি । জাতিসংঘের হিসেবে মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় । আর চাষের মাছের ক্ষেত্রে অবস্থান পঞ্চম ।
স্বয়ংসম্পূর্ণতা এসেছে গবাদি পশু উৎপাদনের ও । হিসেব বলছে বাংলাদেশ ছাগলের দুধ উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় । আর ছাগলের সংখ্যার বিচারে এর অবস্থান চতুর্থ আর গরু ছাগল ভেড়া মহিষ মিলিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে ১২ তম । বিশ্বে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ । জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা হিসেবে ১২ বছর ধরে বাংলাদেশের ১২.৫ ফল উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে যার উপর ভিত্তি করে বিষয়টা ধান উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে বাংলাদেশ আমের তালিকায় অবস্থান সপ্তম আর পেয়ারা উৎপাদনে অষ্টম ।