‘পুলিশই আমাকে অস্ত্র তৈরি করতে বলেছিল’

সম্প্রতি অস্ত্র তৈরির অপরাধে আটক কামরুলকে সাংবাদিকদের সামনে হাজির করলে তিনি দেন এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। যশোরে দুই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মাদক ও চোরাচালান বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই কারখানাটির সন্ধান পাওয়া যায়।
সাংবাদিকদের কামরুল জানান, পুলিশের অন্তত আধা ডজন কর্মকর্তার (উপ-পরিদর্শক) নির্দেশেই পিস্তল ও ওয়ান শ্যুটারগান তৈরি করতেন তিনি। প্রত্যেকটির জন্য তিনি মজুরি বাবদ পেতেন ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে তার তৈরি করা পিস্তল বাইরে কারো কাছে বিক্রি হয়নি। শুধু পুলিশই ছিল তার অস্ত্রের ক্রেতা।
অস্ত্র তৈরির জন্য অর্ডার দেওয়া কয়েকজন পুলিশ সদস্যের নামও বলেন তিনি। বললেন, এখন পুলিশ আর তার কথা শুনছে না। অস্ত্র তৈরির কাজে সহযোগিতার দায়ে তার স্ত্রী রাবেয়া সুলতানা ওরফে রানী (৩২) ছাড়াও ওই বাড়িতে অবস্থানকারী একই গ্রামের নূর হোসেনের ছেলে আবুল বাশারকেও (৩২) আটক করা হয়েছে।
তবে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনসার উদ্দিন কামরুলের এই দাবি নাকচ করে দেন। গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘কামরুল ধরা পড়ে আবোল-তাবোল বলে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বলে আমরা ধারণা করছি।’