আসছে বাজেটে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর পাশাপাশি এই শিল্পে বিদ্যমান বৈষম্য কমানোর দাবি জানিয়েছেন সিরামিক শিল্পের উদ্যোক্তারা । তারা বলছেন উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বাড়তি চাপের কারণে আমদানি প্রতি টিকে থাক পারছে না দেশি উদ্যোক্তারা । একইসাথে করোনায় সংকটে ভরা এই শিল্প ঘুরে দাঁড়াতে অন্য ক্ষেত্রে আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানিয়েছেন এই শিল্পের উদ্যোক্তারা । এই শিল্পের আমদানি বাণিজ্য কে রুখে দিতে তৈরি হয়েছে শ্রমিক শিল্প ।
বাংলাদেশ এই খাতের বিনিয়োগ ১০ হাজার কোটি টাকার উপরে । এই খাতে কর্মসংস্থান হয়েছে ৫লাখ মানুষের । বাংলাদেশের চাহিদার প্রায় ৮৫ শতাংশ পূরণ করতে সক্ষম শ্রমিক শিল্প । যে কারণে সাশ্রয় হচ্ছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা । কিন্তু রাজস্ব নীতির কারণে সংকটের মুখে পড়েছে এই শ্রমিক শিল্প । উদ্যোক্তারা বলছেন এই শিল্পের কাঁচামালের প্রায় পুরোটাই আমদানি করতে হয় ।
যেখানে শুল্ক গুনতে হচ্ছে ৩৭ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত । উদ্যোক্তারা বলছেন এটা অসহনীয় । সেনেটারী পন্য এর উপর সম্পূরক শুল্ক আরোপ সরকারি নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক বলেও মনে করেন তারা । উদ্যোক্তারা বলছেন শিল্প অঞ্চলের প্রতিষ্ঠিত শ্রমিক শিল্পের জন্য কর অবকাশ সুবিধা দিচ্ছে সরকার । এর ফলে বৈষম্যের মুখে পড়বে এই সব কারখানা মালিকরা ।
শ্রমিক শিল্পের সম্প্রসারণে আমদানি করা কাঁচামাল ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪০% করার এবং এই খাতকে সরকারের প্রণোদনার আওতায় আনার দাবি মালিকদের । সরকারের নীতি সহায়তা পেলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির পরিমাণ বাড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে করেন উদ্যোক্তারা । উদ্যোক্তাদের কথা বিবেচনা করে সরকার এই খাতকে আর্থিক প্রণোদনা আওতায় আনার কথা চিন্তা করছে । দেশের চাহিদা বিদেশে করে অর্জন করা এদিকে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে ।