ঋতাভরী চক্রবর্তী ভারতীয় মেগা সিরিয়াল ওগো বধু সুন্দরী তে মুল চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তুমুল দর্শক প্রিয়তা পেয়েছিলেন । তখন থেকে এখন পর্যন্ত ভক্তদের মনে পাকাপাকি জায়গা নিয়ে তিনি টিকে আছেন । ঋতাভরীর নামের সাথে যেকোন সফলতার বিশেষণ কিন্তু জুরে দেওয়া যায় খুব সহজেই । কিন্তু এই অর্জনের পেছোনে তার পরিশ্রম কতটা সেই গল্পটা কয়জনেরই বা জানা ।
ভারতের এক জনপ্রিয় ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন পর্দার আলোয় আর মেকাপের আড়ালে লুকিয়ে থাকা ব্যাথার গল্প । এই অভিনেত্রী জানান ভাগ্যের সঙ্গে লড়াই করে জন্ম তার । জীবনের প্রতিটি বাকে পেয়েছেন প্রতিকুলতা । সেসবকে পিছনে ফেলে আজ তিনি অকপট । ব্যাক্তি জীবন নিয়ে মনে দরজা খুলে বলে গেলেন তার জীবনে অনেক না জানা কথা ।
এই অভিনেত্রীর বাবা মা দুজনেই জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী পরিচালক । মিডিয়ায় স্বনামধন্য দুইজনের মেয়ে হয়ে মিডিয়ায় ঋতাভরীর আগমনটা অনায়াসেই হতে পারতো । কিন্তু টা হয়নি তাকে অনেক কষ্ট করেই তার এই স্থান তৈরি করতে হয়েছে । এই অভিনেত্রী নিজ মুখে জানান তার জন্মের আগেই তার এবরশন এর সিদ্ধান্ত নেয় তার পরিবার ।
শেষ মুহূর্তে তার মা এই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে যায় বলেই পৃথিবীতে আজ তার বিচরন । এই অভিনেত্রীকে পর্দায় ঝটপট লাগে কিন্তু তার অন্তরে জমে আছে অনেক কষ্ট । বাবা থাকতেও বাবার কাছে বড় হন নি মামার বাড়িতেই হয়েছেন । তার বাবা অতিরিক্ত মদ পান করতেন এমনকি পরিবারের সন্তানের জন্য খাবার না নিয়ে তিনি সেই টাকায় মদ কিনে খেতেন ।
তার মায়ের উপর করা হতো নির্যাতন । সেই দুঃখে আজও তিনি তার বাবাকে বাবা বলে ডাকেন না । প্রেম নিয়েও অনেক খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি । জীবনের প্রথম থেকে চরাই উতরাই এর গল্প বলতে গিয়ে অনেক হেসেছেন ও বটে । তবে তার মাঝে ছিল অনেক ক্লান্তি ।